ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক আমাদের নতুন সময়কে বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশ থেকে অর্থ আমেরিকা, কানাডা, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলোতেই যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে আমাদের টাকা যাবে না। এটাকে ভালো ছাড়া কী বলবো? 

[৩] অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নির্বাচনের আগে এ ধরনের কথাবার্তা মানুষ ভিন্নভাবে নেবে। কিন্তু যেকোনো ফান্ড যখন কোনো দেশ দেয়, তাদের নিজস্ব কিছু মেকানিজম থাকে। টেকনিক্যাল কিংবা আর্থিক রিপোর্ট তাদের কাছে থাকে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট অডিটও হয়। এসব কাঠামো তো বহু বছর ধরেই আছে তাদের। অনিয়ম-দুর্নীতি হলে তাৎক্ষণিকভাবেই ধরা সম্ভব। কয়েক বছর পর ধরার বিষয় তো তা নয়। অনিয়ম-দুর্নীতি ধরার মতো মেকানিজম তাদের কাছে আছে। 

[৪] তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীরা তো নাইজেরিয়া কিংবা আফ্রিকার মতো কোনো দেশে টাকা পাচার করে না। যারা কানাডা, আমেরিকার মতো দেশে বাড়ি বানায়, ছেলেমেয়ে পড়ালেখা ও তাদের লাইফস্টাইল সম্পর্কে তো আমেরিকা, কানাডা বা পশ্চিমা বিশে^র না জানার কথা নয়। কীভাবে বাংলাদেশ থেকে টাকাগুলো পশ্চিমা বিশে^ যাচ্ছে তারা নিশ্চয়ই জানে। কিছু মানুষ হয়তো পরিশ্রম করে টাকা কামাই করছেন, কিন্তু অবৈধ টাকা পাচারকারী কারা, তাদের তো চেনা যায়। 

[৫] আমেরিকা-কানাডার মতো দেশ যদি আমাদের দেশের অর্থ পাচারকারীদের নজরদারির মধ্যে রাখেÑ কীভাবে কানাডার টরন্টোতে বেগমপাড়া গড়ে উঠে, আমেরিকায় বাড়ি কিনে তারা তা খতিয়ে দেখতে পারে। কানাডা কি জানে না, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ টাকা পাচারকারীরাই বেগমপাড়া গড়ে তুলেছে। আমাদের চেনা-জানা লোকই তো সেখানে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। 

[৬] তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে আমেরিকার এ ধরনের কথাবার্তার মধ্যে রাজনীতি থাকবে। রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেই মনে হয় তা। কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্র দেশটির জনগণকেই ঠিক করতে হবে। জনগণকে রাস্তায় নেমে ঠিক করতে হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে, কিন্তু বাংলার ইতিহাস তো অনেক পুরনো। আমেরিকার চেয়েও অনেক পুরনো ইতিহাস বাংলার। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব